Searching my own sky

Searching my own sky

Saturday, October 4, 2014

 প্রতিবার না লেখার একটাই বাহানা থাকে, "ব্যাস্ততা"। সেটা  পুরোটা মিথ্যেও নয় যদিও । ছেলেবেলার মত আজ কাল আর দুর্গাপুজোর সেই আনন্দ বা উত্তেজনার চেয়ে দুই সপ্তাহ ছুটি পাবার আনন্দটাই আলাদা। আজ কাল আনন্দের পরিভাষাই পালটে গেছে। আমার স্কুলের বাচ্চাদের দেখি একটা ছোট কাগজের টুকরো যাকে আমরা বলি, "Reward Card",বাচ্চারা কোন ভাল কাজ করলে দিয়ে থাকি,সেটাই পেয়ে তারা খুশি। আমরা বড়রা অতো অল্পেতে খুশি হইনা। সেই ব্যাপারে আমাদের কলেবর  দামোদর শেঠের চেয়েও বড় ।

একটা জিনিষ কেন জানিনা ছোটবেলা থেকেই দুর্গাপুজোর সন্ধেবেলায় মনটা এত খারাপ কেন হয়ে যায় ! ঘোরাফেরা , খাওয়া দাওয়া,সাজগোজ ,ফেসবুক এ ছবি দেওয়া ,আড্ডা ,গল্প -সবই তো হয়। তাও মন কেন যেন খারাপ থাকে। এই রহস্যের কিনারা পাওয়া বড়ই কঠিন ।

পঞ্চমীর দিন ভাবলাম সকালবেলাতেই বেরিয়ে পরি। রাতের ভিড়ে প্রতিমাদর্শন। উফ! সে না বলাই ভাল। কারণ কি শুধু সেটাই ছিল ? জানিনা! ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে গেলাম পুরনো পাড়াতে ।আমার শৈশব সেখানেই কেটেছে । মহানন্দা নদীর ধারে একটা ভাল পুজো হত। যেতাম বাবা মায়ের সাথে। আজকাল আর অতো দূরে যাওয়া হয়না। হঠাৎ  চোখ পরে যায় একটা জায়গায়, ফুচকার দোকান ! তখন আমি ক্লাস থ্রীতে পড়ি ,বাবা মার সাথে সপ্তমির দিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি , ওই ফুচকার দোকান দেখে বায়না করলাম,
"বাবাই ওটা খাব!"
বাবাই জিজ্ঞেস করলেন, "ওটা পারবি খেতে?"
আমি বললাম, "হ্যাঁ পারব!"
সেটি খাবার পদ্ধতি আমার মা আমায় শেখাচ্ছিলেন , হঠাৎ দেখি্ একটা  বছর তিনের ছেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । ছেঁড়া জামাকাপড় , শুকনো মুখ। সে ভিক্ষে করছিলোনা শুধুই দেখছিল । বাবা তাকে টাকা দিতে চাইলেও সে নিতে চায়নি। চুপ করে চলে গেল। ভাল লাগলনা ওই ফুচকা খেতে ।

আমি তখন ছোট। গরিবি হাটাও , দেশ বাঁচাও - এসব জানতাম না। কিন্তু "পার্থক্য " টা  স্পষ্ট চোখে পরেছিল ।
আজ আসা করি ও ভাল আছে।অন্ততপক্ষে খাবা্র স্টলে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেনা।

তুই যেখানেই থাক,, তোকে জানাই, শুভ বিজয়া।

Tuesday, April 22, 2014

মনে রাখব!


 মনে পরবে তোমায়   বার বার,
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তের, প্রতিটি অভিজ্ঞতার;
পরবে তোমার শেখানো, কবিতা লেখা,
প্রতি সপ্তাহ শেষে  লেখা গল্পগুলো শোনাবার। 
তুমি থাকবে আমার গাওয়া প্রতিটি গানে,
তুমি থাকবে  আমার নাচের ছন্দে ও  তালে,
থাকবে আমার প্রাণে ।
থাকবে তুমি চিরদিন আমার লেখায়,আমার আঁকা ছবিতে ,
সময় পেলে এক উড়োচিঠি  পাঠিয়ে দেব নিভৃতে ।
শব্দগুলো   যায় হারিয়ে,এই গল্পের শেষে ,
আমার আওয়াজ পৌঁছোয় না,
তোমার সেই দূর দেশে।




Saturday, November 23, 2013

ভাবনা

 গল্প  লিখবো ভেবেছিলাম , কেন যেন  শব্দ খুঁজে পাই না ,
কবিতাই বা লিখব  কি ? আর ছন্দগুলো  মেলাতে পারিনা।
মনে পরে যায়  কিছু কথা, সে  বেশ কয়েক বছর আগের,
শব্দ, ছন্দ সব কিছু  ভালই  মনে আসত ;
কোন  কাজ কম্মও ছিলনা  তখন,
মনে  ছিল  অজস্র  এলোমেলো  ভাবনা।
সপ্তাহের  শেষে  শুধু অজুহাত  খোঁজা ,
একটু  যদি কথা বলতে পারি;
বলতাম,"দেখতো  কেমন লিখেছি?"
সব খুঁতগুলো  বেশ  ধরিয়েদিতে,
ধরিয়েদিতে  ভুলগুলো ।
কত  নতুন  নতুন  কথা  শেখাতে,
ধরে ফেলতে  কখন  দুঃখ  পাচ্ছি ,
না দেখেই।
কত  রাগ, দুঃখ , অভিমান,কতকিছু ,
তার হিসেব  রাখিনি।
সারা রাত জেগে  কত  চোখের  জল ফেলেছি  রাখিনি তারও হিসেব।
তর্কাতর্কি , ঝগড়াঝাঁটি,মনোমালিন্য , খুনসুটি -
সবের শেষে  জিজ্ঞেস  করা,
"শরীর  ভাল আছে  তো?"  "মন  ভাল আছে তো ?"
বসন্ত উৎসবে সেই আমার আঁকা  পলাশ ফুল,
সেই  রঙগুলো ,
সব  মনে  পরে।
আমি  আজও  হাসি  আগের মত,
তবে  হাসির  আড়ালের  দুঃখটা  কেও  কি  আর  ধরতে  পারে?
আজ  কোথায়  যেন  চলে গেছ ! শত চেষ্টা  সত্ত্বেও  পাইনি  তোমায়  খুঁজে;
হয়তো  মনেরই  ভুল ছিল , আর ছিল  পাগলামি;
তবু কেন  জানিনা, আজও  দিনের  শেষে  একবার  মনে মনে  জিজ্ঞেস  করি,
"শরীর  ভাল  আছে তো ?" "মন ভাল  আছে ?"




Tuesday, March 26, 2013

নতুন বসন্ত!


মৃদু মিষ্টি বাতাস, সূর্যালোকে আলোকিত নীল আকাশ; এক অদ্ভুত  অনুভুতি; সময়ের খেয়াল নাই,
                      বেলা বয়ে যায়, সব কাজ ফেলে আমি বসে আঙিনায়;
অলস মন , তাতে এলোমেলো ভাবনা যত , দুঃখ, যন্ত্রণা , অভিযোগ জমে আছে কত !
                             হাওয়ায় গালদুটি আলতো ভাবে ছুঁয়ে যায়,
                        পরশখানি বুঝিয়ে দেয় ,বসন্ত এসেছে আঙিনায়।
              আমার পথ হয়েছে রঙিন , তাতে ছুটে  চলেছি  একা উন্মাদের ন্যায়।
যতবার চেয়েছি নিজেকে রাঙাতে বসন্তের রঙে , দেখেছি রঙগুলো  কেমন যেন উধাও  হয়ে যায় !
                   আজ পলাশের বন দিচ্ছে হাতছানি , কোকিল গাইছে গান,
                                "হয়েছে সব যন্ত্রণা , মলিনতার অন্ত,
                   আজ কোন বাধা নেই, জীবনে এসেছে  নতুন বসন্ত !"



Sunday, April 29, 2012

মূল্যবান কিছু মুহূর্ত !

বহু দিন ধরে নিজের  আসল  পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে সেটা পেলাম ! ওদের ভালবাসা, ওদের বিশ্বাসের মধ্যেই পেলাম নিজের আসল পরিচয় । অনেক ধন্যবাদ!  
http://www.youtube.com/watch?v=gJLJjR_Lpu8

Saturday, February 18, 2012

বদলে যাচ্ছে সব!

        দূর থেকে দেখে সব জিনিসকে অন্য রকম লাগে, কাছ থেকে দেখলে তা দেখায় ঠিক অন্যরকম। একটা স্কুল, সেখানে ছোট বাচ্চারা- দৌড়ে বেড়াচ্ছে খেলে বেড়াচ্ছে , মনে হয় বড় নিস্পাপ। কাছ থেকে দেখলে সত্যিই কিছু ব্যাপারে ভীষণ ভয় হয় । এরা ঠিক কতটাই বা নিস্পাপ !

         দেখে ভীষণ অবাক হই, যখন এরা কারো দুর্বলতায় হাসে। একটি নার্সারি বি এর ছেলে যে মানসিক বিকলাঙ্গ তার ওপর তারা হাসে, তাকে নিয়ে মজা করে ঠিক তারই বয়েসি বাচ্চারা । আমার ক্লাসে কেও অঙ্ক না পারলে বা কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে বাকিরা তাকে- "Looser" বলে ডাকে।

          কিছু দিন আগে আমারই ক্লাসের একটা ছেলে স্কুলের এক আয়ার সাথে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করে। তা নতুন নয়। স্কুল ছুটির পরে এক জনকে দেখি সে watch man কে বলছে- "তুমি আমাকে শেখাবার কে?" তাকে মানা করলে সে বলে, "watchman আমাকে বলার কে?"

           উঁচু ক্লাসের ছেলে মেয়েদের বকলে তাদের হাব ভাব দেখে ঠিক মনে হয়  তারা বলে,- "We don't give a damn!" তারা সকলেই ভীষণ "smart"!তবে সেটা "merit" - এর দিক দিয়ে না অন্য কিছু, সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
           আমরা বড়রা -সে শিক্ষক - শিক্ষিকা বা তাদের বাবা মাই  হোক না কেন, মনে হয় আমরা  ওদের যত না  চিনি , ওরা আমাদের psychology বা আমাদের দুর্বলতাগুলোকে খুব ভাল করে বোঝে ।
          নতুন   generation  বা প্রজন্মকে দেখে মাঝে মাঝে ভীষণ ভয় হয় । বড়দের সম্মান না দেওয়া,  কারো দুর্বলতাকে নিয়ে মজা করা, অন্যের কষ্টে নিজের খুশি খুঁজে পাওয়া- সত্যিই  বদলে যাচ্ছে সব!