প্রতিবার না লেখার একটাই বাহানা থাকে, "ব্যাস্ততা"। সেটা পুরোটা মিথ্যেও নয় যদিও । ছেলেবেলার মত আজ কাল আর দুর্গাপুজোর সেই আনন্দ বা উত্তেজনার চেয়ে দুই সপ্তাহ ছুটি পাবার আনন্দটাই আলাদা। আজ কাল আনন্দের পরিভাষাই পালটে গেছে। আমার স্কুলের বাচ্চাদের দেখি একটা ছোট কাগজের টুকরো যাকে আমরা বলি, "Reward Card",বাচ্চারা কোন ভাল কাজ করলে দিয়ে থাকি,সেটাই পেয়ে তারা খুশি। আমরা বড়রা অতো অল্পেতে খুশি হইনা। সেই ব্যাপারে আমাদের কলেবর দামোদর শেঠের চেয়েও বড় ।
একটা জিনিষ কেন জানিনা ছোটবেলা থেকেই দুর্গাপুজোর সন্ধেবেলায় মনটা এত খারাপ কেন হয়ে যায় ! ঘোরাফেরা , খাওয়া দাওয়া,সাজগোজ ,ফেসবুক এ ছবি দেওয়া ,আড্ডা ,গল্প -সবই তো হয়। তাও মন কেন যেন খারাপ থাকে। এই রহস্যের কিনারা পাওয়া বড়ই কঠিন ।
পঞ্চমীর দিন ভাবলাম সকালবেলাতেই বেরিয়ে পরি। রাতের ভিড়ে প্রতিমাদর্শন। উফ! সে না বলাই ভাল। কারণ কি শুধু সেটাই ছিল ? জানিনা! ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে গেলাম পুরনো পাড়াতে ।আমার শৈশব সেখানেই কেটেছে । মহানন্দা নদীর ধারে একটা ভাল পুজো হত। যেতাম বাবা মায়ের সাথে। আজকাল আর অতো দূরে যাওয়া হয়না। হঠাৎ চোখ পরে যায় একটা জায়গায়, ফুচকার দোকান ! তখন আমি ক্লাস থ্রীতে পড়ি ,বাবা মার সাথে সপ্তমির দিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি , ওই ফুচকার দোকান দেখে বায়না করলাম,
"বাবাই ওটা খাব!"
বাবাই জিজ্ঞেস করলেন, "ওটা পারবি খেতে?"
আমি বললাম, "হ্যাঁ পারব!"
সেটি খাবার পদ্ধতি আমার মা আমায় শেখাচ্ছিলেন , হঠাৎ দেখি্ একটা বছর তিনের ছেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । ছেঁড়া জামাকাপড় , শুকনো মুখ। সে ভিক্ষে করছিলোনা শুধুই দেখছিল । বাবা তাকে টাকা দিতে চাইলেও সে নিতে চায়নি। চুপ করে চলে গেল। ভাল লাগলনা ওই ফুচকা খেতে ।
আমি তখন ছোট। গরিবি হাটাও , দেশ বাঁচাও - এসব জানতাম না। কিন্তু "পার্থক্য " টা স্পষ্ট চোখে পরেছিল ।
আজ আসা করি ও ভাল আছে।অন্ততপক্ষে খাবা্র স্টলে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেনা।
তুই যেখানেই থাক,, তোকে জানাই, শুভ বিজয়া।
একটা জিনিষ কেন জানিনা ছোটবেলা থেকেই দুর্গাপুজোর সন্ধেবেলায় মনটা এত খারাপ কেন হয়ে যায় ! ঘোরাফেরা , খাওয়া দাওয়া,সাজগোজ ,ফেসবুক এ ছবি দেওয়া ,আড্ডা ,গল্প -সবই তো হয়। তাও মন কেন যেন খারাপ থাকে। এই রহস্যের কিনারা পাওয়া বড়ই কঠিন ।
পঞ্চমীর দিন ভাবলাম সকালবেলাতেই বেরিয়ে পরি। রাতের ভিড়ে প্রতিমাদর্শন। উফ! সে না বলাই ভাল। কারণ কি শুধু সেটাই ছিল ? জানিনা! ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে গেলাম পুরনো পাড়াতে ।আমার শৈশব সেখানেই কেটেছে । মহানন্দা নদীর ধারে একটা ভাল পুজো হত। যেতাম বাবা মায়ের সাথে। আজকাল আর অতো দূরে যাওয়া হয়না। হঠাৎ চোখ পরে যায় একটা জায়গায়, ফুচকার দোকান ! তখন আমি ক্লাস থ্রীতে পড়ি ,বাবা মার সাথে সপ্তমির দিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি , ওই ফুচকার দোকান দেখে বায়না করলাম,
"বাবাই ওটা খাব!"
বাবাই জিজ্ঞেস করলেন, "ওটা পারবি খেতে?"
আমি বললাম, "হ্যাঁ পারব!"
সেটি খাবার পদ্ধতি আমার মা আমায় শেখাচ্ছিলেন , হঠাৎ দেখি্ একটা বছর তিনের ছেলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । ছেঁড়া জামাকাপড় , শুকনো মুখ। সে ভিক্ষে করছিলোনা শুধুই দেখছিল । বাবা তাকে টাকা দিতে চাইলেও সে নিতে চায়নি। চুপ করে চলে গেল। ভাল লাগলনা ওই ফুচকা খেতে ।
আমি তখন ছোট। গরিবি হাটাও , দেশ বাঁচাও - এসব জানতাম না। কিন্তু "পার্থক্য " টা স্পষ্ট চোখে পরেছিল ।
আজ আসা করি ও ভাল আছে।অন্ততপক্ষে খাবা্র স্টলে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেনা।
তুই যেখানেই থাক,, তোকে জানাই, শুভ বিজয়া।