ছোট্ট পাখিটার ইচ্ছে ছিল -সে একদিন উড়তে শিখবে ।
নীল আকাশে উড়তে উড়তে চলে যাবে বহু দুরে,
-স্বাধীনতার এক অদ্ভুত অনুভুতি।
কিন্তু তার ভাল লাগত না যখন তার মা তাকে বাইরে যেতে মানা করত।
"বাইরে যেতে নেই! বাইরের জগতটা খুব খারাপ।"
সে ভাবত, "তাতে কি? তাই বলে কি উড়বো না?"
একদিন মাকে না বলে সে গেল চলে;
ডানা মেলে উড়তে শুরু করল খোলা আকাশে।
আজ সে স্বাধীন ; কেও তাকে থামাতে পারবেনা,
কেও মানা করার নেই।
হঠাৎ একটা বিশাল শকুন তেড়ে আসে তার দিকে। সে পালাতে থাকে প্রান বাঁচিয়ে।
"মা" "মা" বলে চিৎকার করে কিন্তু কেও শুনতে পায়না তার আওয়াজ ।
শকুনটা তার পেছন আর ছাড়ে না।
অনেক কষ্টে পিছু ছাড়িয়ে একটা গাছের ডালে এসে
পাতার আড়ালে লুকোয়।
একটা তির এসে বিধল তার বুক।
একটা শিকারি শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বনে।
রক্তাক্ত শরীরটা মাটিতে এসে পরে; ছটফট করতে থাকে সে।
উড়ে পালাবার চেষ্টা করে, কিন্তু শিকারিটা এসে তার সেই ডানাদুটো কেটে ফেলে।
প্রাণটা বেরোবার আগে তার মনে পরে মায়ের কথা।
শিকারিটা তার মৃতদেহ নিয়ে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরে যায় ।